নাজমুল হাসান পাপন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সম্প্রতি দেশের মন্ত্রিসভার পদ পাওয়ার পর গুঞ্জন উঠেছে, বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন তিনি। পাপন যদি পুরোনো দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে বিসিবি প্রধান হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন কে, সেটাই সবার প্রশ্ন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে তাকালে দেখা যায়, নাজমুল হাসান পাপনের বিকল্প হিসেবে ভক্তরা সামনে রাখছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ও দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। এই দৌড়ে সাকিব আল হাসানের নামও দেখছেন অনেকেই। কিন্তু তারা কি আদৌ বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারবে?
আরো পড়ুন: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাউদির নতুন মাইলফলক
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মাশরাফি বা সাকিবের বিসিবি সভাপতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।
মূলত বিসিবির জটিল গঠনতন্ত্রের কারণে পাপন পদত্যাগ করলেও এখন মাশরাফি বা সাকিবের বিসিবি প্রধানের পদে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখানে বিসিবি সভাপতি পদে আসতে হলে কিছু নিয়ম অনুযায়ী অন্তত তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। সংবিধানের বাইরে কাউকে নিয়োগ দিলে আইসিসির পক্ষ থেকে শাস্তি হতে পারে।
বিসিবির প্রধান হতে হলে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে…
১) আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসির গাইডলাইন মেনে চলতে হয়। আইসিসির ওই গাইডলাইন অনুযায়ী বোর্ডের সভাপতিকে কে অবশ্যই নির্বাচিত সভাপতি হতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সেই পদে স্থলাভিসিক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
২) বোর্ড সভাপতি পদের জন্য প্রার্থীকে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হবে। পরিচালক ব্যতীত অন্য কারও বোর্ড সভাপতি হিসাবে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই।
৩) বোর্ডের পরিচালক পদে নির্বাচন করতে হলে একজনকে অবশ্যই বোর্ডের কাউন্সিলর হতে হবে, আর কাউন্সিলর হতে হলে আঞ্চলিক বা ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে সংগঠকের ভূমিকা পালন করতে হবে। গত নির্বাচনে কাউন্সিলরের সংখ্যা ছিল ১৭১ জন।
সাকিব-মাশরাফির কেউই বিসিবির কাউন্সিলর নন। তাই বোর্ড সভাপতি হওয়া তো দূরের কথা, পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগও তাদের নেই। নাজমুল হাসান পাপন যদি বিসিবি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ থেকেই কেউ বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হবেন।