মহেন্দ্র সিং ধোনি সবসময়ই মাঠে ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত। যার জন্য সবাই তাকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলে ডাকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। তবে এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন তিনি। তবে সতীর্থের প্রতারণার শিকার হয়ে কিছুদিন আগে মামলা করেন এই ঠাণ্ডা মাথার মানুষটি। এবার সেই সহযোগীরাই আদালতে ধোনির বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা দায়ের করলেন।
ধোনি যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা মন্তব্য না করেন, সেজন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মানহানির জন্য ধোনির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তাতেও নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় বড় শাস্তি পেলেন সন্দীপ লামিচানে
ধোনি ২০১৭ সালে ‘আর্কা স্পোর্টস’ নামে একটি ক্রিকেট একাডেমির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, ধোনির ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি এবং লাভের কিছু অংশ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তিনি এই টাকা পাননি। চুক্তির এই গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির দুই অংশীদার সৌম্য বিশ্বাস ও মিহির দিবাকর।
দু’জনকেই বেশ কয়েকবার ‘আইনি নোটিশ’ পাঠিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট এক চিঠির মাধ্যমে আর্কা স্পোর্টসে নিজের নাম ব্যবহারের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন ধোনি। তাতেও কাজ না হলে, ধোনি বেশ কয়েকটি আইনি চিঠি পাঠান। কিন্তু সংগঠনের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে মিহির ও সৌম্য তাতেও মাথা ঘামায়নি। অবশেষে আর কোনো উপায় না পেয়ে রাঁচিতে ১৫ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন ধোনি।
তবে সম্প্রতি মিহির ও সৌম্য জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দাবি, ধোনির অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। ফলে ধোনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা।