লক্ষ্যটা বেশ বড় ছিল, ১৭৮ রান। কিন্তু এমন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য সহজেই অতিক্রম করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে শুভগত হোমের দল। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৪ রানে তানজিদ তামিমকে (২) হারায় চট্টগ্রাম। আরেক ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো অবশ্য মারকুটে ব্যাটিং করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৯ রান।
এরপর ইমরানুজ্জামান ১৪ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু শাহাদাত হোসেন দিপু ও নাজিবুল্লাহ জাদরান জুটিকে দমাতে পারেননি সিলেটের বোলাররা। ৬৮ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ৩০ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৩৯ বলে ৫৭ রান আসে দিপুর ব্যাট থেকে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও চারটি ছক্কা।
আরো পড়ুন: বিপিএলে সাকিব-তামিমের মুখোমুখি লড়াই আজ
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুবই ভালো হয়েছিলো সিলেট স্ট্রাইকার্সের। দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন আর নাজমুল হোসেন শান্ত দুজনেই দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় তাদের জুটি ভেঙ্গে যায়। তিন নম্বরে নেমে হার না মানা ঝোড়ো ফিফটি হাঁকিয়েছেন আরেক স্বদেশী জাকির হাসান। সবমিলিয়ে সিলেট ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে মাশরাফির সিলেট। ওপেনিংয়ে নেমে ৫০ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন মিঠুন ও শান্ত। ৩০ বলে ৩৬ রান করে ডাগআউটে ফেরেন শান্ত। তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মিঠুন। সিলেটের এই ওপেনার ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংসে মারেন ৪টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা।
এরপর জাকির হাসান একাই দলের হাল ধরেন। তিনি হ্যারি টেক্টরের সাথে ৪৯ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন, যার মধ্যে টেক্টর মাত্র ২৬ (২০ বলে) রান করেন। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা জাকির খেলেন ৪৩ বলে ৭০ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস। অপরাজিত ইনিংসে সাতটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।