আধুনিক ক্রিকেটে বেশির ভাগ দেশই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাকে এখন বেশি প্রাধান্য দেয়। সাদা বলের মতো লাল বলের ক্রিকেটেও এর প্রভাব চোখে পড়ার মতো। আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে উন্নতি করলেও টেস্ট ক্রিকেটে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর টেস্ট ক্রিকেটে বেশ উন্নতি করেছে সাকিব-শান্তরা। ২০২২ সালে বাংলাদেশ দল ১০টি টেস্ট খেলে জিতেছে মাত্র ১টিতে। কিন্তু ২০২৩ সালের গল্পটা ভিন্ন। ২০২৩ সালে ৪টি টেস্ট খেলে বাংলাদেশ ৩টিতেই জয় লাভ করেছে।
আরো পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
জয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের ধরনেও কিছু পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে পা মিলিয়ে টেস্টে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেছে টাইগাররা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ফলস্বরূপ বিদায়ী বছরে টেস্টে ওভার প্রতি ৪.০৬ হারে রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
ওভার প্রতি ৪.৮৭ হারে রান করে দ্রুত রান সংগ্রহের তালিকায় সবার শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ ম্যাচ খেলেছে তারা। ৮টি টেস্ট খেলে ৪ জয়, ৩ হার ও ১ ড্রয়ের দেখা পেয়েছে ইংলিশরা।
ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের পর তিন নম্বরে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। ৭ টেস্ট খেলে তারা ওভার প্রতি ৩.৫২ হারে রান করেছে। এছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান প্রতি ওভারে ৩.৪৯ রান এবং শ্রীলঙ্কা প্রতি ওভারে ৩.৪৭ হারে রান করেছে।