চলতি বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হাঁটুতে চোট পান পেসার এবাদত হোসেন। এবাদত নিজেও হয়তো ভাবেননি যে আঘাতটি এত গুরুতর হবে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরেও তাঁর সার্ভিস পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এবাদতের চোট নিয়ে মিনহাজুল বলেন, ‘আগামী মৌসুম থেকে এবাদতের মাঠে ফেরার সম্ভবনা আছে। আগামী মৌসুম মানে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে, হয়তো সেটা দিয়েই সে আবারো মাঠে ফিরে আসবে। আমাদের কাছে এই ধরনের একটি হালনাগাদ তথ্য রয়েছে। এবাদত যে পুনর্বাসনে রয়েছেন সেখানে এই সময়ের আগে মাঠে ফিরে আসা সম্ভব নয়। তবে মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত আপডেট না দেওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
আরো পড়ুন: আইপিএলের কারণে বাংলাদেশের যেসব ম্যাচ খেলতে পারবেন না মুস্তাফিজ
বিগত ৮ জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে বল করার সময় ডানহাতি এই পেসার পা হড়কে পড়ে যান। বাঁ হাঁটুর চোটের কারণে বোলিং অসম্পূর্ণ রেখেই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছিল যে চোট তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু পরে সেই পর্যবেক্ষণটি ভুল প্রমাণিত হয়।
এবাদত হোসেন মাত্র চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। চার ম্যাচে শিকার করেছেন সাতটি উইকেট। যদিও এই সংস্করণে খুব বেশি অভিজ্ঞ নয় এবাদত। তবে অন্য দুটি সংস্করণের জন্য তিনি বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওয়ানডেতে ১২ ম্যাচে ২২টি উইকেট এবং টেস্টে ২০ ম্যাচে ৪২টি উইকেট শিকার করেছেন। এদিকে, চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে আসার জন্য লড়াই করা তাসকিন আহমেদ ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার তাঁকে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে দেখা গেছে।