বয়স আর ইনজুরি, কোনো বাধাতেই আটকালেন না তামিম ইকবাল। দেশীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল এই তারকা আরও একবার হাজির বিপিএল ফাইনালের মঞ্চে। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান, বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসহ প্রায় অনেক রেকর্ডই নিজের করে রেখেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। আজ (শুক্রবার) বিপিএলের ফাইনালেও তামিমের সামনে হাতছানি দিচ্ছে দুই রেকর্ড।
২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই নিয়মিত খেলেছেন তামিম। ১০ আসরে আটটি ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে দুই সেঞ্চুরির কীর্তি তিনি গড়ে ফেলেছেন। একবার সেঞ্চুরি করেছেন ফাইনালের মঞ্চেই। ২০১৯ বিপিএলের ফাইনালে তার ১৪১ রানের ইনিংস এখনো বিপিএলে দেশীয়দের মাঝে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন: বিপিএল ২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন দল কত টাকা পাবে?
২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তিনি করেছিলেন ৪৭৬ রান। এরপর ২০১৯ বিপিএলে কুমিল্লার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৪৬৭ রান। এক মৌসুমে বিপিএলে দেশীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানে তামিমের এ দুই স্কোর রয়েছে ৩ ও ৪ নম্বরে। এবারের বিপিএলে সেটাকেই টপকে যেতে পারেন তিনি।
ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত তিনি করেছেন ৪৫৩ রান। ফাইনালে মাত্র ২৪ রান করলে নিজের আট বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙবেন তামিম। এই রেকর্ডটা নিজের ব্যক্তিগত হলেও, পরের রেকর্ডটায় তোলপাড় ফেলতে পারেন পুরো বিপিএলে।
তামিমের সামনে আছে বিপিএলে স্থানীয় ব্যাটারদের মধ্যে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রান করার সুযোগ। সে জন্য ফাইনালে তামিমকে করতে হবে ৬৪ রান। ৫১৬ রান করে এক মৌসুমে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নাজমুল হোসেন শান্তর।
আরো পড়ুন: ডোপিং কান্ডে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন পল পগবা
ঠিক একই সুযোগগুলো থাকছে তাওহীদ হৃদয়ের জন্য। তামিমের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র ৬ রানে পিছিয়ে আছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। হৃদয় এবার খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। ১৩ ম্যাচে ৪৪৭ রান করে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তামিম এবং হৃদয় দুজনেই পাচ্ছেন দেশীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রান করার সুযোগ। শান্ত ছাড়া এমন কীর্তিও নেই আর কারোর। বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড অবশ্য প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রুশোর। ২০১৯ মৌসুমে এক আসরে রংপুরের হয়ে করেছিলেন ৫৫৮ রান।