বাংলার ক্রিকেটে তারা ছিলেন অপরিহার্য দুজন। দুই বন্ধু সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল একসঙ্গে দেশের ক্রিকেটকে দিয়েছেন অনেক কিছু। হঠাৎ করেই বন্ধুত্বে ধরে ফাটল। তৈরি হয় বৈরিতা। এতটাই যে, দুজনের দুটি পথ আলাদা হয়ে যায়। মেতে ওঠেন একে অপরের সমালোচনায়, জন্ম হয় বিতর্কের।
গল্পের সূত্রপাত তো সবার জানা। তারপর থেকে কত কী হয়ে গেল। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল ম্যাচে তামিমকে আউট করে সাকিবের উদযাপন, সাকিবের আউটে তামিমের অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি। স্কুল বাচ্চাদের মতো আচরণে দুজন বোঝান, তারা বড় হলেও ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বটা আরও বড়।
আরো পড়ুন: এক দশক পর আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেল কানাডা
বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা জিতেছে তামিমের বরিশাল। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক। তিনি নিজেও হয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৫ ম্যাচে করেছেন ৪৯২ রান। হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা। যেখানে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাকিব। রংপুরের হয়ে সদ্য শেষ হওয়া আসরে সাকিব খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেছেন ২৫৫ রান। বল হাতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট।
শিরোপা জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম। সেখানেই আসরে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক থেকে কাদের এগিয়ে রাখবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফুল ইসলাম, তাওহিদ হৃদয়ের পাশাপাশি সাকিবের কথা বলেন তামিম। দেশসেরা ওপেনার সাকিবের প্রশংসা করে জানান, শুরুটা ভালো করতে না পারলেও পরে সে দারুণ করেছে।
তামিম বলেন, ‘সাকিব শুরুটা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু পরের দিকে নিজেকে ফিরে পেয়েছে। ব্যাট ও বল হাতে দারুণ করেছে। রংপুরের এগিয়ে যাওয়ায় চমৎকার ভূমিকা রেখেছে।’