নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক মাইলফলক। নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে টাইগাররা। টানা ১৮ টি পরাজয়ের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে এটি ছিল লাল-সবুজ দলের প্রথম জয়।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই ম্যাচটিই ছিল তাদের সর্বশেষ ওয়ানডেতে ম্যাচ। এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ সব মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। জাতীয় ক্রিকেট দল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির তুলনায় ওয়ানডেতে বেশি দক্ষ পারফর্ম করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে তেমন ভালো কিছু করতে পারেনি টাইগাররা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়সূচি
এ বছর ৩২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১১টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা, ১৮ ম্যাচে হেরেছে এবং তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। ঘরের মাঠে খেলা চারটি সিরিজের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, আর সেটা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এইবার বিদেশের মাটিতে শুধু নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিউইদের কাছে সিরিজ হারলেও আইরিশদের বিরুদ্ধে সিরিজ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ দল।
টাইগারদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায়, ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিব-লিটনদের বছরটা মোটেও ভালো ছিল না। এদিকে, দলের সামগ্রিক বাজে পারফরমেন্স সত্ত্বেও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে ভালো পারফর্ম করেছেন।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিজেদের প্রথম ওয়ানডে জয়ের ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া টাইগার দলের এই তরুণ ব্যাটসম্যান এ বছর মোট ২৭টি ম্যাচ খেলেছেন। এই ম্যাচগুলিতে তিনি মোট ৯৯২ রান সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি দুটি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এছাড়া চলতি বছর টাইগারদের মধ্যে রান সংগ্রহের দিক থেকে বর্তমানে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
শান্তর পরেই এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবল এ বছর ২৯ ম্যাচে মোট ৮৬৪ রান সংগ্রহ করেছেন। তার পরেই আছেন সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও লিটন দাস। সাকিব ২৩ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন ৭৩৫ রান, হৃদয় ২৭ ম্যাচ খেলে ৭২৭ রান করেছেন এবং লিটন ২৯ ম্যাচ খেলে ৬৫১ রান করেছেন।