শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। খালেদ আহমেদের করা ওভারের প্রথম বলটি ব্যাটে খেলতে পারেননি জাকের আলী, উইকেটকিপারের হাতে বল রেখে রান নিতে গিয়ে আউট হন অপর প্রান্তে থাকা খুশদিল শাহ। এই রান আউট কুমিল্লার জন্য সাপে বড় হয়েছে! উইকেটে এসেই পরের ৩ বলে ১০ রান তোলেন ম্যাথু ফ্রড। তাতে শেষ ২ বলে প্রয়োজন হয় ১ রান। এক বল হাতে রেখেই সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মিরপুরে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
১৬২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ১৫ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আরেক ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ১৩ রান। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া তাওহিদ হৃদয় ফিরেছেন ডাক খেয়ে।
আরো পড়ুন: আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে ভারতের আধিপত্য
টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। এক প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মধ্যেও আরেক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৫২ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষদিকে দ্রুত রান তোলে জয়ের সমীকরণ মিলিয়েছেন খুশদিল শাহ ও ম্যাথু ফ্রড।
এর আগে বরিশালের হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মিরাজ। এই তরুণ ওপেনার গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফিরেছেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি প্রীতম কুমারও।
তামিম ইকবাল ভালো শুরু পেয়ে আরো একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৯ রান করে। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মুশফিক ও সৌম্য। এই দুজনের ৬৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে ছিল দল।
৪২ রান করে সোম্য ফেরার পর আবার ছন্দ পতন হয়। মুশফিকও ফেরেন ৬২ রান করে। এরপর আর কেউ বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি। ফলে ১৬১ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বরিশালকে।