মেসি, হাল্যান্ড নাকি এমবাপ্পে— ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ কে হচ্ছেন? ফুটবল প্রেমীরা এই উত্তরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাল্যান্ড ও এমবাপ্পেকে টপকে ২০২৩ সালের ফিফার সেরা ফুটবলারের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন। ৩৬ বছর বয়সে আবারও নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে টানা দ্বিতীয়বার এবং সর্বমোট অষ্টমবারের মতো সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন এই কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড।
গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত মর্যাদাপূর্ণ ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। মেসি অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন উপস্থাপক ও জনপ্রিয় ফুটবলার থিয়েরি হেনরি।
এবারের পুরস্কারের জন্য ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ২০ আগস্ট, ২০২৩ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ম্যানচেস্টার সিটির দুর্দান্ত স্ট্রাইকার আর্লিং হাল্যান্ড এবার এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে ভোটের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারটি জিতেছেন লিওনেল মেসি।
আরো পড়ুন: বাফুফেকে বড় অংকের আর্থিক জরিমানা করল ফিফা
২০২২ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য গত বছরও সম্মানজনক এই পুরস্কার পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এমনকি অনুষ্ঠান ঘোষণার আগেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মেসি পুরস্কারটি পাবেন। তবে এবার মেসির পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা ততটা নিশ্চিত ছিল না। এমনকি অনেকেই তার শীর্ষ তিনে জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন।
মেজর লিগ সকারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছেন মেসি। সেখানে যোগ দেওয়ার পর থেকে দেশটির ফুটবলে পরিবর্তন এনেছেন তিনি। এমনকি ইন্টার মিয়ামি তাদের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলেছে তার হাত ধরেই। এ সময় জাতীয় দলের জার্সিতেও মেসির পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। আর পুরস্কারের দৌড়ে বিবেচিত সময়সীমার মধ্যে মেসি ৩২ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৪ গোল। এর মধ্যে তিনি জিতেছেন ব্যালন ডি’অর ট্রফিও।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে থাকে। এই ইভেন্টটি ফিফা নাইট নামেও পরিচিত। ফিফা অ্যাওয়ার্ড শুরু হয় ১৯৯১ সালে। সে সময় ‘ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়’ হিসেবে পুরস্কারটি দেওয়া হতো। এটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এরপর এটি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অরের সাথে একীভূত হয়, যা ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ নামে পরিচিত। কিন্তু ব্যালন ডি’অর থেকে সরে আসার পর ২০১৬ সাল থেকে এটি ‘দ্য বেস্ট’ নামে পরিচিত হয়।