বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে অনেকবার ২২ গজে খেলতে নেমেছেন। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বরাবরই একে অপরের বিপরীতে খেলেছেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে এবার দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভিন্ন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তামিমের অনুপস্থিতি, সাকিবের সঙ্গে বিরোধের গুঞ্জন এবং গণমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য দুজনের উষ্ণ সম্পর্কে ঘি ঢেলেছে। ফলে খেলার মাঠেও এই দুই তারকা ক্রিকেটারের দ্বৈরথ দেখার প্রত্যাশায় আছেন ক্রিকেট প্রেমীরা।
চলতি বিপিএল আসরেও প্রতিপক্ষ হিসেবেই মাঠে নামছেন তামিম-সাকিব। আজ (শনিবার) দুপুর দেড়টায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। তামিম-সাকিবদের কারণে এই ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নিজের ওপর চাপ কমাতে রংপুরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না সাকিব, তাই দলকে নেতৃত্ব দেবেন নুরুল হাসান সোহান। অন্যদিকে সাকিবের সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি বরিশালের অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন তামিম ইকবাল।
আরো পড়ুন: একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিপিএলে খেলার অনুমতি পেলেন না
ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব আবারও সামনে আসে। তামিম তার সতীর্থকে নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে টাইগার ওপেনারকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া তামিম নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজেও অংশগ্রহণ করেননি। ফলে দীর্ঘদিন পর বিপিএলে আজকের ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরবেন তিনি।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের মাঝপথে আঙ্গুলের চোট নিয়ে দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সাকিব। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজেও দলের বাইরে ছিলেন এই টাইগার অধিনায়ক। এর মাঝে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। যেখানে প্রথমবারের মতো মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। এবার তারও মাঠে ফেরার পালা। আঙুলের চোট থেকে সেরে ওঠার পর নির্বাচনের পর থেকে প্রায় নিয়মিত অনুশীলন করছেন তিনি। এর মাঝেই চোখের রেটিনার সমস্যার কারণে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর আবারো অনুশীলনে ফিরেছেন সাকিব।
আজকের রোমাঞ্চকর বিপিএল ম্যাচের আগে ফরচুন বরিশালের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা কখনো এভাবে ভাবিনি। আপনি যেটা বললেন, সাকিব ভাই বনাম তামিম ভাইয়ের লড়াই, আপনি যার সাথেই খেলুন না কেন- তারা কিন্ত প্রতিপক্ষ। সেটা আপনি যে দলের সাথেই খেলেন না কেন। আবার একসঙ্গে খেলতে গেলে সেই প্রতিপক্ষই সতীর্থ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় আপনি যার বিপক্ষেই থাকুন না কেন, সেটা আপনার প্রতিপক্ষ এবং মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। সে যেই হোক না কেন।’