সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। সবকিছু বিচারে বলা চলে বিপিএল ইতিহাসের সেরা মৌসুম ছিল এটি। বড় কোন ধরনের সমালোচনা বা বিতর্ক ছাড়াই শেষ হয়েছে এবারের আসর। ক্রিকেটপ্রেমীরাও বেশ উপভোগ করেছে খেলা, ব্রডকাস্টের মান, টুর্নামেন্টের আয়োজন থেকে শুরু করে ধারাভাষ্য।
বিপিএল নিয়ে দর্শকদের এখন একটাই চাওয়া থাকতে পারে, সেটা হল ‘হোম এন্ড অ্যাওয়ে’ পদ্ধতির টুর্নামেন্ট। যদিও এটি সহসাই করা সম্ভব নয়। এদিকে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার জন্যে চার অঞ্চল থেকে চার দল আবেদন করেছে বিসিবির কাছে। যেখানে নোয়াখালী-ময়মনসিংহের মতো দল আছে বিপিএলে নাম লেখানোর আশায়।
আরো পড়ুন: দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের ব্রডকাস্টিং
বিপিএলের ফাইনাল শেষে টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এমন কথা জানিয়েছেন এক গণমাধ্যমে। সেখানে আলাপকালে নতুন দল গুলোর আবেদন জমা পড়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। মল্লিক জানান, ‘বিপিএলে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে আরও চার দল আবেদন করেছে। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে নতুন করে দল বাড়ানোর সম্ভাবনা আপাতত নেই।’
নতুন দল অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা না থাকলেও বর্তমান সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ সরে দাঁড়ালে সেক্ষেত্রে ওই চার দলের মধ্য থেকে হতে পারে কোনো দলের সুযোগ। এরই মধ্যে বিসিবির কাছে আবেদন করেছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী ও গাজীপুর। এর আগেও বিপিএলে ছিল রাজশাহীর ফ্রাঞ্চাইজি দল।
আরো পড়ুন: ভারত-ইংল্যান্ড শেষ টেস্ট ম্যাচ নিয়ে সংশয়
বিপিএল চলাকালে বিশ্বে আরও একাধিক লিগ চলমান থাকে। তাই সময় এবং বিদেশী খেলোয়াড় ম্যানেজ করা হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জিং। এই বিষয়টি ফের সামনে আনলেন মল্লিক, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সময় বের করা। জাতীয় দলের খেলার পর যে সময়টা বাকি থাকে সেই সময়টুকুর মধ্যেই আমাদেরকে বিপিএল আয়োজন করতে হয়। একটা দল বাড়ানো মানে প্রায় আরও দশ দিন অতিরিক্ত সময় লাগা।’
এর আগে অবশ্য প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে শান্ত, যিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিপিএলে ময়মনসিংহ দলের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বিসিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগামী বিপিএলে ময়মনসিংহ দল থাকার বিষয়ে।